কাজ করছেন শিল্পী |
cat and mouse |
doll |
motorbyke |
s1 |
এইভাবে চলে যাওয়াটাই বোধহয় ভালো ... একটি ভূমিকা
স্থান
শান্তিনিকেতন, এক অনুজ শিল্পীর হাতে বেশ দূর্মূল্য কিছু বিদেশি কাগজ এসেছে, দামী
কাগজ তাই কি আঁকবেন সেই ভাবনায় জর্জরিত। শেষমেশ ঠিক করলেন এক জীবন্ত কিংবদন্তী
শিল্পী যিনি সেই সময় কলাভবনে উপস্থিত ছিলেন ওনাকে দিয়ে আসবেন, কাগজগুলির
সঠিক ব্যবস্থা হবে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ ... চললেন শিল্পীর দর্শনে। সাক্ষাতের পর
বহুমূল্যের কাগজগুলি ওনার হাতে তুলে দিলেন। বর্ষীয়ান শিল্পী খুশি, অনুজকে
চেয়ারে বসিয়ে শিল্পালোচনায় ডুবে গেলেন। এই সময় অনুজ লক্ষ্য করলেন আলোচনার ফাঁকে
ফাঁকে ওই শিল্পী কাগজগুলিকে নির্বিকারে ছিঁড়ছেন। একটি একটি কাগজ ছিঁড়ছেন অগ্রজ
শিল্পী আর অনুজের হৃদয়ে কে যেন হাতুড়ির ঘা দিচ্ছে ... যদিও অনুজ সেটি মুখে প্রকাশ
করছেন না। একসময় পর কিংবদন্তী শিল্পী বলে উঠলেন ... 'ওগুলি
শুধু কাগজই ... !!!'
গত
শতাব্দীর চল্লিশের দশক, ভারতছাড় আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে
সারা ভারত জুড়ে। এই সময় তরুণ তুর্কিরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এই আন্দোলনে। যথারীতি
পুলিস তাদের গ্রেপ্তার করল জেলে পাঠালো। উত্তর কেরলের কালপাথি অঞ্চলের একটি যুবক
যিনি চেন্নাইয়ের প্রেসিডেন্সির ছাত্র, ছিলেন এই দলে । কারাবরণের
ফলস্বরূপ ব্রিটিশ পরিচালিত সব ধরণের সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অধিকার
হারায় ... এই পর্যন্ত পড়েই যে কেউ বলে দেবে এই ছেলের আর কিছু হবার নয়। বাধ্য হয়ে
১৯৪৪ সালে ছেলেটি ভর্তি হয় বিশ্বভারতীর কলাভবনে ... ছেলেটির পুরোনাম কালপাথি গণপতি
সুব্রক্ষ্মণ্যন (K.G.
Subramanyan), সবাই ডাকে 'মানিদা' বলে।
শান্তিনিকেতনে শিক্ষানবিস কালে গুরু হিসাবে পেয়েছিলেন নন্দলাল
বসু, রামকিংকর বেজ এবং বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়কে। ছাত্রাবস্থায় এই তিন দিকপালের
কাজ দেখতেন, পর্যবেক্ষন করতেন এবং নিজের মতন বিচার বিশ্লেষণ করতেন যা তাঁর অনন্য চরিত্র
হয়ে দাঁড়িয়েছিল পরবর্তী কালে। এই
বিশ্লেষণাত্মক চোখ তাকে পরিণত করেছিল এক বিচক্ষণ উত্তরসূরীতে। নন্দলাল বসুর মতন
তিনি চারু ও কারুর পার্থক্য মুছে দিয়েছিলেন। কাগজ, ক্যানভাস, টেরাকোটা, দেওয়াল
চিত্র থেকে উৎসব মুখর প্রাঙ্গণের সজ্জা সবখানেই তিনি সমান ভাবে দক্ষ।
প্রতিটি
শিল্পীর গঠনপর্ব বলে একটি সময় থাকে, কে.জি. সুব্রক্ষ্মণ্যনেরও ছিল।
শান্তিনিকেতনে অবস্থানের শুরু থেকেই তাঁর বিশ্লেষণাত্মক ঝোঁক দেখা গিয়েছিল, তাই
কোনোদিন আবেগে নিজের বিচারবোধকে ভেসে যেতে দেন নি। শিল্পবিষয়ক অসংখ্য প্রশ্নের
উত্তর সীমাহীন ধৈর্য্যে খুঁজেছেন। এতে ধীরে ধীরে তিনি পন্ডিত হয়েছেন, বোধ
জ্ঞান এবং নান্দনিক মাত্রার সমীকরণ সৃষ্টি করেছেন। বিশ্বাস করতেন কোনো কিছুই জোর করে আনা যায় না, ভেতর
থেকেই উঠে আসে তা,
অবশ্যই ভেতর থেকে জন্ম নেবে সেটা। একটু উদাহরণ দি, নন্দলাল
বসুর ছবির মধ্যে যে জাতীয়তাবাদ অংশটি ছিল স্বাধীনতাপাপ্তির পর তার প্রয়োজন কমে এলো, আবার
পাশ্চাত্যের পপ আন্দোলন সেই সময়ে ভারতের জনমানসে সরাসরি অনুবাদ সম্ভব নয় তার
গ্রহনযোগ্যতার প্রশ্নে। আবার সমসাময়িক শিল্পীরা শিল্পকলায় ব্যক্তিগত ভাষা
অনুসন্ধানে ব্যস্ত। এমতাবস্থায় একজন
শিল্পীর অস্তিত্বের খোঁজ বেশ ধীরে প্রতিটি অলিগলি যাচাই করে এগিয়ে চলাই একমাত্র
রাস্তা থাকে। এই চলাটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, ফলে সমসাময়িক শিল্পীদের তুলনায়
মানিদার চিত্রভাষা গড়ে উঠেছিল অনেক দেরিতে কিন্তু নিশ্চিত রূপে।
snake charmer 1949 |
শুধুমাত্র
ছবি আঁকিয়ে অথবা ভাস্কর ছিলেন না তিনি।
শিল্পের প্রায় সবধরনের গলিপথেই তাঁর উদ্দীপনা লক্ষণীয়। দেওয়াল চিত্র, ছাপচিত্র
(এচিং, সিল্কস্ক্রিন),
নরম ভাস্কর্য, ট্যাপেস্ট্রি, কাপড়ের
উপর ম্যুরাল, পুতুল অলংকরণ,
আলপনা, সরা অঙ্কন নিজের লেখা কবিতা গল্পের অলঙ্করণ
সব মাধ্যমেই তাঁর অবাধ যাতায়াত। অনেক সময়ই দুটি বা তার বেশি মাধ্যমের সংযোগে গড়ে
তোলেন শিল্পভাষ্য। এতে শিল্পরচনা হলো বহুমুখী, ফলে শিল্প গঠন অথবা বিন্যাসের
বিশেষ বাঁধাধরা নিয়ম আর কাজ করল না। তবে কি তাঁর ছবির জটিলতা বৃদ্ধি পেল ... দর্শক সাধারণ হতবাক হয়ে গ্যালারী থেকে ফিরে
যায় ... স্বভাবত প্রশ্নটা এসেই যায়।
সম্প্রতি
বিশ্বভারতীর নন্দন প্রদর্শনশালায় মানিদার পঞ্চাশের দশক থেকে শেষ পর্যায় পর্যন্ত
একটি সংগ্রহ দেখার সৌভাগ্য বর্তমান লেখকের হয়েছিল। তিন শতাধিকের উপর রেখাচিত্র, বীজচিত্র, পুর্ণাঙ্গ
চিত্র পাঠ করার সৌভাগ্য হয়েছিল। সেই বিপুল সম্পদ দর্শনের পর শিল্পী সম্পর্কে বেশ
খানিকটা ধারণা দর্শকের মনে দাগ কাটে, প্রশ্ন জাগে। সারা জীবন অসংখ্য
রেখাচিত্র এঁকেছেন শিল্পী ... সস্তা কাগজে, দামী কাগজে, কার্ডের
পিছনে, শিক্ষার্থীকে দেখিয়ে দেবার কাগজে। কোথাও রঙ ভরেছেন, কোথাও
সাদা অংশ ছেড়ে রেখেছেন। সাদা কাগজে কালো রঙে মানুষ, পশু, গাছ ,ফুলদানী, পাখি, পরী কি
নেই বিষয়ে। অতি সাধারণ দৈনন্দিন জীবন থেকে আহরণ করেছেন জীবন দর্শন, স্থাপত্যসুলভ
রচনা। পেন, তুলি, পেনসিল, কাটা কাগজের টুকরো ... ছবি যা যা দাবি করে সেই মতো জুড়েছেন। কোথাও দেখা গেছে
একই ছবিতে ঘোড়া সিংহ অথবা কুকুরের একাধিক অংশ একসাথে জুড়েছেন, আগের
ড্রইং মুছে পশুটির স্পন্দনটি নষ্ট করতে চান নি। একই ভাবে মানব দেহের বিভিন্ন ভঙ্গি
এঁকেছেন। ছবিতে গোলাপী,
সবুজ, কমলা, বেগুনী জাতীয় সংকর উজ্জ্বল রঙ
প্রয়োগ দেখলে মনে হবে হাতের কাছে যাই পেয়েছেন তাই দিয়ে রাঙিয়েছেন।
reverie of an armyman's wife 1981 |
একটু
দেখে নি শিল্পীর দীর্ঘদিনের দৈনন্দিন অভ্যাস।
কন্যা উমা পদ্মনাভন জানাচ্ছেন সকাল সাড়ে নটার মধ্যে স্টুডিয়োতে গিয়ে বসতেন, মাঝে
সামান্য সময় দুপুরের ভোজন এবং বিশ্রাম সেরে বিকেল ছয়টা অবধি ওখানেই থাকতেন। আবার
শান্তিনিকেতনে থাকলে ভোর পাঁচটা ছয়টার সময়
কলাভবনে এসে চিনা বটতলায় বসে থাকতেন। শিল্পী শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে আড্ডা
দেবার সময় তাঁর হাত শূন্যে ছবি আঁকত। ৮৬ বছর বয়সে কলাভবনের ডিজাইন বিভাগের বাড়িটির
চারদেওয়ালে সম্পুর্ণ ম্যুরাল করার সময় গাড়ি থেকে নেমে সরাসরি বাঁশ বাঁধা মাচায়
উঠেছেন একটু সময় নষ্ট না করে। সেই সাথে যোগ দিন শিক্ষার্থী থেকে সারা বিশ্বের
শিল্পান্দোলন গুলিকে বিশ্লেষণাত্মক চোখ দিয়ে বিচার করার অভিজ্ঞতা। এই ক্ষমতার
অধিকারী যিনি, তাঁর মেধাটা কত সংযত এবং নান্দনিক শক্তিতে ভরপুর তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে
ছবি দাগানোর সময় রঙ ব্যবহার হয়ত হাতে-কলমে সময় কম লাগলেও সেটা দীর্ঘকালের অভিজ্ঞতা
ও উপলব্দির ফসল। সেই কারণে মানিদার ছবিতে আমরা পাই আলাপরত রেখাগুচ্ছ, রঙের
মূর্ছনা, গঠনে স্থাপত্যসুলভ বাঁধন।
the bombay alterpiece 1991 |
কালপাথি
গণপতি সুব্রক্ষ্মণ্যন ছিলেন সারাক্ষণের শিল্পী, গল্প করার সময় অথবা ধ্রুপদী সঙ্গীতের রসস্বাদনের সময়েও দেখা গেছে শূন্যে আঁক
কষছেন। বস্তুকেন্দ্রীক এই সমাজে অর্থকরীর ব্যাপারে ছিলেন উদাসীন। এই বিষয়ের
দায়িত্ব সিগালের কর্ণাধার নবীন কিশোরে দিয়ে নিশ্চিত ছিলেন। সাংসারিক জীবনে
বাজারঘাট, গ্যাসের লাইন জাতীয় বৈষয়িক বিষয় থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়া শিল্পকর্ম
কি দামে বিক্রি হবে সেই নিয়ে নির্লিপ্ত থাকা যে কত জরুরী তা ভুক্তভোগী শিল্পী অথবা
সাংস্কৃতিক কর্মী মাত্রই জানেন। এই বিষয়ে নবীন কিশোর বাবু অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার
যোগ্য, কারণ তিনি এই সকল বিষয় থেকে শিল্পীকে মুক্তি দিয়েছিলেন বলে আজ এতো এতো
শক্তিশালী কাজ আমরা দেখতে পাচ্ছি যা অবশ্যই ভারতীয় আধুনিক শিল্পকলাকে সমৃদ্ধ
করেছে।
সুরসিক
ছিলেন তিনি। শান্তিনিকেতন অথবা বরোদায় তাঁর প্রখর রসিকতাবোধের স্বাদ নেন নি এইরকম
নিকটজন দুর্লভ। প্রগাঢ় পান্ডিত্য এবং শিল্পবোধ মানুষকে রসিক করে তোলে। কলাভবনে
ডিজাইন বিভাগে মানিদা কৃত সাদাকালো ম্যুরাল দেখে যোগেন চৌধুরীর উদ্বুদ্ধ। কাজ
চলাকালীন চা-চক্র বসত নিয়মিত। সেখানে উপস্থিত থাকতেন সোমনাথদা, ঋতেনদা, সুহাসদা, লালুদা
প্রমুখ দিকপাল। যোগেন বাবু একদিন কথা পাড়লেন, বললেন এখানে একটি টেরাকোটার
মন্দির করতে আগ্রহী,
মানিদা উৎসাহ দিলেন ... তবে লেগে পড়ুন। যোগেন বাবু রসিকতা -
যদি কর্তৃপক্ষ ভেঙে দেয়?
মানিদা উবাচ - তবে চারটে চাকা লাগিয়ে দিন। ওই দেওয়ালে নতুন সাদাকালো ম্যুরাল যেটি এখন
আমরা দেখতে পাই সেটির কাজ চলাকালীন একদিন দেখা গেল ফাঁকা দেওয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে
শিল্পী শূন্যে আঁকছেন আর ভাবছেন, সহকর্মী দিলীপদা (মিত্র) কাছ যেতেই বললেন ওই
খালি দেওয়ালে গজ আর মকর আঁকব, প্রতিষ্ঠানকে তো আসতে আসতে মকরেই
খাচ্ছে। কাজ শেষে দেখা গেল এঁকেছেন রেলগাড়ির মতন সার সার হাতির পাল একে
অন্যের গায়ে লেগে এগিয়ে চলেছে । এখানেই
শেষ নয়, সেই সার বাঁধা হাতির সামনে হঠাৎ একটি কুমির উপস্থিত। অপর দেওয়ালে আঁকলেন একটি
বড় হাতি আর তার পা কামড়ে একটি কুমির ... মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
মানিদার
জীবনপর্ব নিজগ্রাম বাদ দিলে শান্তিনিকেতন আর বরোদা এই দুটি তাঁর বাড়ি। মধ্যে
কিছুদিন দিল্লী- মুম্বাইতে কেটেছে গহনা নক্সা, টেক্সটাইল ডিজাইন, সিনেমা
পোষ্টার, বই অলঙ্করণ,
পুতুল অলঙ্করণ করে। নির্যাস তুলেছেন সেই পর্ব থেকে। বেশ
কয়েকবার পাশ্চাত্য ভ্রমণও করেছিলেন। কিন্তু বার বার ফিরে এসেছেন শান্তিনিকেতনে আর
বরোদাতে। সারা ভারত থেকে শিল্প রসদ সংগ্রহ করে নিবিড় আগ্রহে মিশিয়েছেন পাশ্চাত্য
আধুনিক শিল্পান্দোলনের নির্যাস। অনুসরণকারীদের বার বার বলতেন সভ্য জীবনের সেরা
অনুপ্রেরণা আসতে পারে পৃথিবীকে ভালোবাসতে পারলে। খ্যাতি চান নি কিন্তু বিখ্যাতও
থেকে বেশি কিছু হয়ে উঠেছিলেন। অসংখ্য পুরষ্কার পেয়েছেন যার মধ্যে কালিদাস সন্মান, পদ্মবিভূষণ অন্যতম।
শিক্ষক
হিসাবে মানিদা কখন চান নি শিক্ষার্থীরা তাকে অনুকরণ করুক। কর্তৃত্বে বিশ্বাসী
ছিলেন না, ছাত্রদের মধ্যে জাগ্রত করতেন
আত্মবিশ্বাস এবং আত্ম অনুসন্ধান। চিত্রপটকে কেবল চিত্রপট হিসাবেই দেখেছেন অর্থাৎ
যেখানে তিনি আত্ম-উপলব্ধি সাজাবেন, এর বেশি কিছু নয়। তাই অনায়াসে
কাগজ ছিঁড়তে ছিঁড়তে বলতে পারেন ... এটা শুধুই কাগজ। এই জাতীয় উক্তি দিয়ে তিনি ছাত্রদের অন্তস্থ শক্তি খুঁজে পেতে
সাহায্য করতেন,
যার উপর ভিত্তি করে জীবন দর্শন গড়ে তোলা সম্ভব হয়।
জীবনের
শেষ পর্বে মানিদার খাওয়ার ইচ্ছা কমে
এসেছিল, শেষ কয়েক বছর ততটুকু খাবার গ্রহণ করতেন যতটুকু শক্তি ছবি আঁকবার জন্য প্রয়োজন
হতো যদিও খাদ্যরসিক হিসাবে উনি পরিচিত ছিল।
জীবনটা জিয়িয়ে রেখেছিলেন শিল্পের প্রয়োজনে। শেষ যেবার হাসপাতালে ভর্তি হন
... চৈতন্য হারিয়ে ফেলেন সাময়িক। অচৈতন্য অবস্থায় ছবি আঁকতেন শূন্যতে, টেরাকোটা
বানাতেন। জাগতিক প্রয়োজন ফুরিয়ে এসেছিল, তাই চলে গেলেন সাধনাচিত স্থানে
২৯শে জুন ২০১৬ সালে। এই ভাবে চলে যাওয়াটাই বোধ হয় ভালো ...
untitled |
প্রবন্ধ তৈরিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাহায্য করেছেন উমা পদ্মনাভন, আর. শিবকুমার, দিলীপ রায়, সৌমিক নন্দী মজুমদার গৌরব রায় ও অনিমেষ মাইতি
... সবাইকে আন্তরিক শ্রদ্ধা।
অমিত বিশ্বাস।। কৃষ্ণনগর ১৭/০২/২০১৭
No comments:
Post a Comment