।। ‘বাক্ ১০৭’ প্রকাশিত হল। এই সংখ্যা থেকেই আমরা আবার পাক্ষিক হয়ে যাচ্ছি।
আমরা চাইছি আরো ঘন কবিতা ছাপতে। খারাপ কবিতা। বিপজ্জনক কবিতা। সংস্কৃতির বদলে
সাহিত্যের কবিতা। ভালো না-লাগার কবিতা। খারাপ না-লাগার কবিতা। যে কবিতা পাঠকের
ভালো লাগা মন্দ লাগার পরোয়া করে না। সেই কবিতা চাইছি। কেউ
কেউ নিটোল কবিতার কথা বলেন। কিন্তু একটা কবিতাও কি আজও নিটোল হয়েছে? পৃথিবী
স্বয়ং নিটোল নয়। জীবন নিটোল নয়। হাসি নিটোল নয়। কান্না নিটোল নয়। খাজুরাহোর কোনো ভাস্কর্য বা অজন্তার কোনো মূর্তিই নিটোল নয়। এমনকি একটা সরলরেখাও মহাবিশ্বের বুকে ছুটে গিয়ে আর সরল থাকে না। যাঁরা নিটোল কবিতার কথা বলেন, তাঁরা সম্ভবত একটা ভ্রান্ত ধারণার বশে রয়েছেন। তাঁরা আঙ্গিক সুষমার কথা বলতে চান। কিন্তু অনাস্বাদিতপূর্ব সুষমার সামনে পড়লে কী হবে? অভ্যাসের
বাইরে গেলেই তো তাঁরা অন্ধত্বের বশবর্তী হন। তখন কবিতার দশা হয় অন্ধের হস্তিদর্শনের মতো। কেউ দ্যাখেন শুঁড়, কেউ থামের মতো পা, কেউ
কুলোর মতো কান। হাতির যে সামগ্রিক রূপ, সেটা দেখতে পারলে তবেই তো তাঁরা গজেন্দ্রগমন দেখতে পাবেন, মাতোয়ারা হবেন।।
(চিত্রঋণ : প্রদোষ পাল)