পৃথিবী আর আমার সন্তানেরা
আমার সন্তানেরা বড় হচ্ছে
হুটোপুটি লুটোপুটি করে। এমন চঞ্চল আর এমন ঝগড়াটে আমি আর দেখিনি কোথাও। একদিন একটা ভূগোলক
কিনে আনলাম বাসায়। আমার হাতে ভূগোলক দেখে তারা জিজ্ঞাসা করে - বাবাগো, ও বাবা, এটা কী গো বাবা?
বললাম
- এটা পৃথিবী। বাবা, আমি পৃথিবী নেব- বলল একজন। বাবা, আমি পৃথিবী নেব- বলল আর একজন। সে কী তাদের হুড়োহুড়ি, কাড়াকাড়ি। বললাম- থাক বাবারা, রাখ। এটা আমার কাছেই থাক।
পরদিন
এক সন্তান এসে বেশ বড়মানুষি
কণ্ঠে বলল - বাবা দেখবে তো এসো, তোমার এক সন্তান
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মুতছে পৃথিবীর মুখে।
তাড়াতাড়ি
নুনুটা প্যান্টে গুঁজতে গুঁজতে এসে,
সেও
হাঁপাতে হাঁপাতে বলল- বাবা, ও-ও আগেই মুতেছে
পৃথিবীর মুখে।
স্কচটেপ মারা পৃথিবী আমার টেবিলের ওপর
বাসায় ফিরে -
রুমে উঁকি দিয়ে দেখি, স্কচটেপ দিয়ে জোড়া দিচ্ছে বসে বসে ভীত ছোট্ট
মেয়ে আমার। চুপি চুপি পায়ে তার কাছে গিয়ে দাঁড়াই। হঠাৎ পিছন ফিরে আমাকে দেখেই ভয় পেয়ে যায় আরো। ভয় পেয়ে কাঁদো কাঁদো
হয়ে ওঠে তার মুখ। বলি- কী হয়েছে মা?
মেয়ে
কেঁদে ওঠে আর বলে- বাবা, টেবিলের ওপর থেকে
পড়ে গিয়ে পৃথিবীটা ভেঙে গেছে।
স্কচটেপ দিয়ে জোড়া লাগানো
পৃথিবী আমার টেবিলে আছে।
ঘোড়ার গাড়ি আর মানুষের গাড়ি
তুমি যে বল, ঘোড়ার গাড়ি, এ কথা কি ঠিক কথা?
তুমি যে বল, গরুর গাড়ি, একথা কি ঠিক কথা?
ইচ্ছে করলে ঘোড়াটা আর ইচ্ছে
করলে গরুটা কি এই
গাড়ি বিক্রি করে দিয়ে চলে
যেতে পারবে আর এক
কোথাও?
তুমি বললে, ঘোড়ায় টানে বলে ঘোড়ার গাড়ি।
তুমি বললে, গরুয় টানে বলে গরুর গাড়ি।
ফেরার সময় বললাম, চল আমরা মানুষের গাড়ি
চড়ে বাড়ি ফিরে যাই। তুমি জিজ্ঞাসা করলে, মানুষের গাড়ি
মানে?
উত্তর দেবার আগেই তুমি বুঝতে পেরেছিলে
রিক্সার কথা। তুমি বিষণ্নভাবে
হাসতে হাসতে বললে,
মানুষেরা বুদ্ধি জানে বটে। ঘোড়া দিয়ে টানিয়ে
নেয়
আর বলে ঘোড়ার গাড়ি, গরু দিয়ে টানিয়ে নেয় আর
বলে গরুর গাড়ি কিন্তু মানুষ
দিয়ে টানিয়ে নিয়ে
মানুষের গাড়ি না বলে, নিজেকে কেমন করে
বাঁচিয়ে নেয়।
তিনটি কবিতা... বেশ অন্য রকম !
ReplyDeleteবেশ ভাল ।
ReplyDeleteCHOROM DUTO ANIF DADA............PRONAM NA JANIYE PARLAM NA
ReplyDeleteভালোলাগা !
ReplyDeleteমানুঁশ চাতুরীর কৌশল জানে মানুষের চেয়ে বেশী
ReplyDeleteমুগ্ধতা...
ReplyDeleteকেমন আবিষ্ট হয়ে গেলাম!
ReplyDelete